শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজর সদর:
ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কের অধিকাংশ স্থানে ইট-কংক্রিট উঠে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। অনেক স্থানে ড্রেন ও সড়কের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে শত বছরের ডিসি সড়কটির বেহাল দশা। তেলিপাড়া রাস্তার মাথা থেকে বঙ্কিমবাজার পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার সড়কে অন্তত দুশতাধিক খানাখন্দক রয়েছে। যেগুলোতে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে বাজারের মধ্যখানে সড়কের কিছু অংশ সংস্কার কাজ করা হলেও তাতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। কারণ কাজ শেষ হতে না হতে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
শুধু ডিসি সড়ক নয়,ঈদগাঁও বাজারের উপ-সড়কগুলোরও একই অবস্থা। বিশেষ করে সামান্য বৃষ্টিতে বাঁশঘাটা সড়কে পানি জমছে। এ বিষয়ে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘ঈদগাঁও বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকা রাজস্ব পায়। তার সিকি পরিমাণও উন্নয়ন হয় না। বরাবরই ঈদগাঁও বাজার অবহেলিত। ঐতিহ্যবাহী ‘ডিসি সড়ক’ রক্ষায় সর্বদলীয় ঐক্যমত গড়ে তোলা হবে।এদিকে রাস্তার দুইপাশে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ডাক বিভাগ, প্রাণী সম্পদ বিভাগ, কৃষি বিভাগ, সরকারী স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক, ভূমি অফিস, টিঅ্যান্ডটি অফিস, কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল, পাবলিক লাইব্রেরি, কেন্দ্রীয় মসজিদ, মন্দিরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়, সামাজিক, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আটটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা এছাড়াও ডিসি সড়ক হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষকে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজ করতে ঈদগাঁও-জালালাবাদ-চৌফলদন্ডি-খুরুশকুল হয়ে কক্সবাজার যেতে হয়। আর কক্সবাজারের অনেক মানুষ সময় বাঁচাতে এ সড়ক পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে তেলী পাড়া রাস্তার মাথা থেকে বক্কিম বাজার পর্যন্ত পুরো সড়কটিই ছোট বড় গর্তে ভরা। পাঁচ মিনিটের পথ যেতে অাধাঘণ্টা সময় লাগে।বিকল্প সড়ক না থাকায় এ সড়কে সবসময় যানজট লেগে থাকে। দীর্ঘদিন ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না হওয়ায় বাজারের ড্রেনগুলো ‘ময়লার ডিপো’তে পরিণত হয়েছে। কাদা-ময়লায় ভরা ড্রেনের পানি সড়কে এসে জমছে।স্থানীয় অধিবাসী রমিজ,দিদার, জানান,সড়কজুড়ে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটে।এ সড়কে দুশতাধিক ছোটবড় গর্ত রয়েছে। রিক্সা-সিএনজিতে যেতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।এসময় খালী পায়ে চলাও দায় হয়ে পড়ে।কোথাও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ট ব্যবস্থাপনা নেই।সড়কটি খানাখন্দকে ভরা।নামমাত্র যে ড্রেনগুলো রয়েছে সেগুলোও বজ্য – আবজর্নায় ভর্তি হয়ে গেছে।স্থানীয় ব্যবসায়ী রমিজ,দিদার,মোবারক অভিযোগ করে বলেন বাজারটি দুটি ইউনিয়নের আওতাধীন হওয়ায় অভিবাবকহীন হয়ে পড়ে আছে। দেখার কেউ না থাকায় বাজারের প্রতিটি অলিগলির সড়কের উভয় পাশে বেইজ লেভেল ৩/৪ ফুঁট উঁচুতে অপরিকল্পিত ভবন,শফিং মল,দোকানপাট নির্মিত হয়েছে। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী বলেন,১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে শ্রীঘ্রই মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এ সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্ভোধন করবে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে।